Brother Wab BD

NATIVE VIDEO ADS ON WECHAT MOMENTS – AXIS Media Hong Kong

দেরিতে সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্তে ইসলাম কী বলছে?

দেরিতে সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্তে ইসলাম কী বলছে?

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষ তাদের মধ্যে পরস্পরে যৌন আকর্ষণের যে দাবি তা পূরণের জন্যে আল্লাহ সৃষ্ট যে বিধান সেটাই বিবাহ। একইসঙ্গে এর অন্যতম প্রধান কারণ সন্তান জন্ম দিয়ে বংশ বিস্তার করা। পড়াশুনা শেষ করার নিমিত্তে স্বামী-স্ত্রীর দেরিতে সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া ইসলাম কি বলছে জেনে নেই।

প্রশ্ন:
আমি একজন নারী ডাক্তার। বর্তমানে ইন্টার্নি করছি। ছাত্রাবস্থায় আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু এখনো সন্তান নিইনি। আমি আমার এ পড়াশুনার মাধ্যমে -ইনশাআল্লাহ- মুসলিম নারীদের সেবা করতে আগ্রহী। (ইন্টার্নিকালে) আমার কাজ হচ্ছে নারী-পুরুষের বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করানো ও তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া। এমতাবস্থায় আমি ও আমার স্বামী চাচ্ছি দেরীতে সন্তান নিতে; যাতে করে উঁচুমানের এ ইন্টার্নি শেষ করতে পারি (অর্থাৎ গ্রাজুয়েট হয়ে)। এ বিলম্ব শুধু পড়াশুনা করা পর্যন্ত।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ।

যদি স্বামী-স্ত্রী সুনির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বিশেষ কোন জন্ম নিরোধক ব্যবহারে একমত হন বা রাজি হন তাহলে এতে কোন আপত্তি নেই; এ অধিকার তাদের রয়েছে। যদিও সাধারণভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করাকে আমরা জায়েয মনে করি না। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী: “আমরা তাদেরকে ও তোমাদেরকে রিযিক দান করি।” যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুর কারণে তারা দেরীতে সন্তান নিতে চান তাহলে এতে কোন বাধা নেই।

আমি এ নারীকে নসীহত করব তিনি যেন পুরুষদের চিকিৎসা না করেন; যদি এ চিকিৎসা সতর এর সাথে সম্পৃক্ত হয় কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন অঙ্গের সাথে সম্পৃক্ত হয় কিংবা এতে পুরুষকে স্পর্শ করা ও পুরুষের সতর খুলতে হয়। তবে যদি সামান্য কিছু হয় যেমন- চোখের চিকিৎসা বা কানের চিকিৎসা কিংবা দাঁতের চিকিৎসা সম্ভবত সেটা জায়েয হবে।

Post a Comment

0 Comments